স্মার্ট

আমরা সবাই নিজেকে স্মার্ট হিসেবে দেখতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেক সমই না বুঝেই অনেক কিছু করি যা আমাদের করা উচিত না।

যখন আপনি নিজেকে দেখছেন ভাবুন আপনি পৃথিবীতে সবচেয় সুন্দর মানুষ। গর্বিত হউন যদি আপনার কান বড়, বা নাক ছোট হ্য় কারন এগুলো আপনাকে সব থেকে আলাদা করেছে। যখন আপনি নিজের সঙ্গে আরামদায়ক হবেন, সর্বদা এটা আপনাকে উজ্জিবীত করবে। একটি ক্যামেরার সামনে ভাল ছবি হল নিজের উপর আস্থা, তেমনি সবার সামনে স্মার্ট দেখাটাও নিজের আস্থার উপর নির্ভর করে । বাড়ীতে একটা আয়না সামনে অঙ্গবিন্যাস অভ্যাস করুন, আপনি যদি মনে করেন আপনি দেখতে ভালো, সম্ভবত তাই।

স্মার্ট হওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। পোশাক আশাক সুন্দর করেই যে আপনি স্মার্ট হবেন তা হবে না। গুছিয়ে কথা বলা; উপস্থিত বুদ্ধি; পরিষ্কার পরিছন্ন; যে কোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া এবং নিজের আশে পাশের সম্পর্কে ভালো জানা শোনা থাকা স্মার্ট হওয়ার কিছু অন্যতম দিক। এই সব দিক গুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভম।

যদি আপনি ভোর -সকালে উঠেন, তাহলে আপনি আপনার ঠোঁট উপর বিশুদ্ধ গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। পরের দিন সকালে যখন নিদ্রা হতে জাগবেন আপনার ঠোঁট এর দিকে তাকান দেখবেন কিছু পরিবর্তন, সব সময় পরিস্কার থাকতে চেষ্টা করবেন যা আপনার আস্থা কে আরো বাড়িয়ে দিবে।আপনার কোমর এক বা দুই হাত লাগান যা সবসময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে যে আপনার পা  সামান্য লম্বা। আপনি ও তাই মনে করবেন ফলে মনে আস্থা বাড়বে।

সবার সামনে মুক্ত এবং নরমাল থাকুন। নিজের মতামত গুলো অনুশীলন করুন প্রথম একটি আয়না সামনে। কখই অপ্রস্তুত বোধ না। খুব সক্রিয় থাকুন এবং প্রশ্নবাণে জর্জরিত যেন না হন সে চেষ্টা করবেন।  নরমাল ভাবে নড়াচড়া করুন নাচুন, এবং মজা করুন। মুখে সব সময় হাসি রাখুন। কখনই নার্ভিস অনুভব করবেন না।

আপনাকে আপনার ব্যক্তিত্ব, আপনার সহজাত দক্ষতা, আপনার কমনীয়তা, এবং আপনার শারীরিক আবেদন প্রকাশ করতে সক্ষম হতে হবে।আপন ব্যক্তিত্ব হচ্ছে একটি স্বাধীন নিজেস্ব চিন্তাভাবনার প্রকাশ। যদি তা না পারেন তবে আপনি জীবিত খাওয়া যেতে পারেন। আপনি সর্বদা নতুন মানুষের সাথে মিলবেন এবং নতুন অবস্থার মধ্যে হাঁটবেন আপনি। অপরিচিত দের সামনে প্রতিদিন আপনাকে কার্য সম্পাদন করতে হবে। আপনা কে নতুন অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, এবং নতুন মানুষের সম্মিলন পছন্দ করতে হবে। যদি আপনি লাজুক এবং সংরক্ষিত ভাবে চলতে চান আপনি অস্বস্তিকর অবস্থায় পরবেন। যে পরিমান কথা বলা প্রয়োজন শুধু সেই পরিমানই কথা বলবেন। কিছু আতিরিক্ত বা বানিয়ে বলবেন না।

উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ইচ্ছা আপনার লক্ষ্য অর্জনে আপনাকে সাহায্য করবে।আপনি থেকে অঙ্গবিন্যাস জন্য আপনার স্বাস্থ্য (আকার এবং ফিটনেস), আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে হবে।আপনার সময়সূচী, আপনার অর্থ, আপনার কর্ম উপাদান সম্পর্কে অবগত রাখতে হবে। কোন কাজ কালকের জন্য রাখবেন না।

চটপটে, বুদ্ধিমান, আকর্ষনীয় মানুষকে স্মার্ট বলা যায়। সব তরুনরা স্মার্ট হতে প্রতিযোগিতা করে। কিন্তু বেশীরভাগ তা শুধু বহিরঙ্গেই হয়, অন্তরঙ্গে নয়! অর্থাৎ হাল ফ্যাশনের জামা কাপড়, জুতা-মোজা, সুগন্ধি, প্রসাধনী, চুলের স্টাইল, গায়ের রং, অলংকার, ঘড়ি, মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ইত্যাদি নিয়েই বিশ্বব্যাপী তরুনের দল (এমনকি বয়স্করাও) স্মার্ট হবার চেষ্টা করেন! আর নানা মিডিয়া ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যের লাভে ও লোভে অনেক অনৈতিক প্রচার চালিয়ে কোমলমতি তরুণদের ভুল পথে নিয়ে যায়! (যেমন: ফর্সা না হলে স্মার্ট হওয়া যায় না, জীবনে সফল হওয়া যায় না, ইত্যাদি ইত্যাদি )
স্মার্ট শব্দের প্রতিটি ইংরেজি অক্ষর ধরে ধরে সত্যিকার ভাবে স্মার্ট হবার একটা রাস্তা খোঁজা যেতে পারে। এস (S): সিম্পল (simple) – সহজ ভাবে চিন্তা করতে পারা, গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারা, সহজ করার জন্য অবিরাম চেষ্টা করা, পড়াশুনা করা; এম (M): মিংলিং (Mingling ): সবার সাথে মিশতে পারা। এ (A): অ্যাকটিভ (Active) – সব সময় সক্রিয় থাকা। আর (R): রেস্পন্সিবল (Responsible ) – দায়িত্বশীল হতে শেখা। টি (T): টেস্টফুল (Tasteful) – রুচিশীল হতে শেখা।

ভূ্ল হলে শুধরে দিবেন আর কোন পরামর্শ থাকলে জানাবেন।

বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।

খবরগুলো আপনার ফেসবুক হোমপেজে নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন