আজকে যেই লেখাটা আপনাদের সামনে তুলে ধরব, তা হল কঠিন বাস্তবতা।
গাবতলী থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৬ কি.মি. দীর্ঘ বেড়িবাঁধের পাশ দিয়ে বয়ে গেছের তুরাগ নদী এবং বেড়িবাঁধের দুপাশে রয়েছে বহু ছোটখাট বিনোদন স্পট। আশুলিয়ার বিনোদন স্পটটিতে রয়েছে স্পিডবোট, নৌকা, চটপটি ফুচকার দোকান ইত্যাদি। আর এই স্থানটি বহু আগে থেকেই সন্ত্রাসী ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের অভয়অরন্য। বিনোদের নামে দিবালোকেই ধর্ষিতা হচ্ছে কিশোরীরা। অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এখানে রয়েছে বিশেষ সুযোগ সুবিধা, আর প্রেমিক-প্রেমিকারা এই সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত বরণ করে নেয় নির্মম বাস্তবতা। নৌকা ভাড়া করে বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে নৌকার মাঝি প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিয়ে যায় নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানে নৌকার পর্দা ফেলে দিয়ে মাঝি ঘন্টা খানিকের জন্য দূরে চলে যান, আর ছেলে মেয়েরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে রমন করার কাজে। আর তাদের নির্জনে একান্ত সময় কাটানোর সুযোগটা কাজে লাগায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। মাঝে মাঝে দুর্বৃত্তরা হামলা করে ছিনিয়ে নেয় টাকা পয়সা, নির্জনে একা পেয়ে ধর্ষণ করে কিশোরীদের, অসহায় কিশোরী ও তার ছেলে বন্ধুটির কিছুই করার থাকেনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এরুপ দুই চারটি ঘটনা প্রতিইদিনই ঘটে। প্রতিদিনই তাদের কান্না দেখতে হয়।
বেড়িবাঁধের রাস্তাটিও রাতে নিরাপদ নয়। রাস্তার পাশে গাড়ি ছিনতাইকারীরা মরা মানুষের মত রাস্তায় পড়ে থাকে। ভুলে গাড়ি থামালেই আপনার গাড়িটি শেষ। অনেক সময় গাড়িতে ঢিল মারা হয়। তখন গাড়ি থালেও আপনাকে বিপদে পড়তে হবে।
আমাদের দেশে এরকম জায়গা অনেক আছে। যেখানে নানা রকম অ-সামাজিক কাজ কর্ম চলে। আমাদের শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা তার কোন প্রতিবাদ জানান না। সত্যি কথা বলতে কি, যখন দেখি আমাদের ছেলে, মেয়ে বা ভাই-বোন সেই সমস্ত জায়গাতে অ-সামাজিক কাজ করার সময় ধরা পরেছে, তখন আমরা তার প্রতিবাদ করি। তার আগে না। আমরা বাঙ্গালী-রা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। আমরা সবাই জানি এসব জায়গাতে অ-সামাজিক কাজকর্ম চলে, কিন্তু কোন প্রতিবাদ করি না, আর যখন বিপদে পরি, তখন প্রতিবাদ করি। মিডিয়ার সামনে খুব বড় বড় কথা বলি। কিন্তু কেন? এর জন্য দায়ি আমি আর আপনি-ই।
ভাইয়া এবং আপু, আপনারা প্লিজ সতর্ক হউন। অ-সামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে ধ্বংশ করে দিবেন না। আল্লাহর দুনিয়াটা অনেক সুন্দর। তাই সুন্দর করে বাঁচতে শিখুন। আল্লাহর তৈরী অপার মহিমা উপভোগ করতে শিখুন। কোন বেহায়াপনা দিয়ে নয়। সভ্য, সুন্দর, সত্যের পথে থেকে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, দূর্নিতি-কে না বলে সৎ পথে চলে জীবন-কে উপভোগ করতে শিখুন। দেখুন, জীবন-টা কত সুন্দর।
বি:দ্র: অত্যান্ত দু:খের সাথে জানাচ্চি যে, প্রতিদিন একটি করে ভাল পোস্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। কোন কোন সময় ব্যস্ততার কারনে পারি না। কিন্তু কস্ট করে অনেক কিছু থেকে একটা ভাল পোস্ট দিলেও আপনারা কোন লাইক দেন না, কোন কমেন্ট করেন না, শেয়ার করেন না। যদি ট্যাগ করে দেই তাহলে ট্যাগ রিমুভ করে দেন। অথচ একটা এডাল্ট পোস্ট-এ বা একটা অ-প্রয়োজনীয় পোস্ট থাকলেই লাইক আর কমেন্ট-এর অভাব হয় না। আমার একটা পোস্ট তৈরী করতে সময় লাগে ১-৩ ঘন্টা, কোন কোন সময় ২-৩ দিনও লেগে যায়। অথচ একটা এ্যাডাল্ট পোস্ট তৈরী করতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ১০ মিনিট। অ-প্রয়োজনীয় পোস্ট তৈরী করতে সময় লাগে ৪ মিনিট। তাহলে আমার পোস্ট-টার সার্থকতা কোথায়? প্লিজ, পোস্ট-টা ভাল করে পড়ুন, যদি ভাল লাগে, তবে শেয়ার করুন। আপনি শেয়ার করলে পোস্ট-টা আপনার টাইমলাইনে যাবে। আপনার ফ্রেণ্ড-রা দেখতে পারবে এবং তারাও জানতে পারবে। তারাও লাইক দিবে। সেটাই আমার পোস্ট-এর স্বার্থকতা।
একজন পেজ এ্যাডমিন কিন্তু লাইক বা কমেন্ট-এর মাধ্যমে কোন প্রকার আর্থিক লাভবান হয় না। শুধুই তারা মনের কাছে একটা বড় শান্তি পান।
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।