‘টেরারিয়াম’-এর খোঁজ রয়েছে হাতেগোনা কয়েকজনের কাছে। ‘টেরারিয়াম’ হলো অন্দরে ছোট বাগান। অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে এটি নতুন ট্রেন্ড হিসেবে বাহবাও জোটাতে পেরেছে।
টেরারিয়ামের উৎপত্তি লাতিন শব্দ ভিভারিয়াম থেকে। অ্যাকুয়ারিয়াম শব্দের উৎপত্তিও ভিভারিয়াম থেকেই। ভিভারিয়ামের অর্থ বদ্ধপরিসরে স্বয়ং-সম্পূর্ণভাবে বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা। টেরা অর্থ স্থলভাগ। সে বিবেচনায় বদ্ধ স্থলভাগে বাস্তুতন্ত্র। যেহেতু ছোট্ট পরিসরে বাগান বানিয়ে ফেলা সম্ভব, তাই ঘরের মধ্যে সহজে মানিয়ে যেতে পারে এ টেরারিয়াম।
কিভাবে টেরারিয়াম বানাবেন?
খুব বেশি পয়সা খরচ করতে হবে না এটি বানাতে। আবার বেশি ঘামও ঝরাতে হয় না। এর উপকরণ আপনি পেয়ে যাবেন হাতের নাগালেই। প্রথমে লাগবে কাচের ফিশবোল, জার বা বড় অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র। এছাড়া কাচের ইলেকট্রিক বাল্বের মধ্যেও তৈরি করা যাবে টেরারিয়াম। প্রথমেই কাচের পাত্রে ছোট ছোট পাথরের টুকরো নিয়ে দেড় ইঞ্চি পুরু স্তর বানাতে হবে। এর পর এর ওপর দিতে হবে কাঠ-কয়লার আরেকটি স্তর। তার ওপর ব্যবহার করতে হবে মাটির স্তর। তবে এ মাটির স্তরের পুরুত্ব নির্ভর করবে কী ধরনের গাছ লাগাবেন তার ওপর।
সাধারণত যেসব উদ্ভিদের কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা কিংবা মূল পানি সঞ্চয় করে রাখতে পারে যেসব গাছ, সে জাতীয় সাকুলেন্ট উদ্ভিদ ব্যবহার করতে হবে টেরারিয়ামের জন্য। এজন্য মস, ফার্ন ক্যাকটাস কিংবা অ্যালুমিনিয়াম প্লান্টজাতীয় গাছ চোখ বুজে বেছে নিতে পারেন। অনেক ধরনের গাছের মিশেল ঘটিয়েও টেরারিয়াম বানানো যায়। যেমন: মূল গাছটি ঘিরে ব্যবহার করতে পারেন চায়নিজ ব্যাম্বু, ফার্ন বা আর্টিলারি কিংবা
সেডাম। এতে সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। টেরারিয়াম সাজানো যাবে বিভিন্নভাবে। বিভিন্ন রঙের নুড়ি পাথর পাওয়া যায় বাজারে, সেগুলো টেরারিয়ামের মাটির স্তরের ওপর বিছিয়ে দেয়া যেতে পারে।
এয়ারপ্লান্ট জাতীয় গাছ ব্যবহার করে টেরারিয়ামকে ঝুলিয়ে রাখলেও দেখতে সুন্দর লাগবে। পছন্দসই গাছ ও পাথর সাজানোর পর এর ওপর ওয়াটার স্প্রেয়ারের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে কাচের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বৈচিত্র্য আনতে শামুকও ব্যবহার করা যায়।
কিভাবে যত্ন করবেন?
প্রয়োজনমতো টেরারিয়ামের গাছে পানি দিন। অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য কাচের ঢাকনায় জলীয়বাষ্প জমলে ঢাকনা খুলে দিন। আর পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: ঢাকাটাইমস্২৪
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।