বড় বড় উঁচু ভবনে ওঠার ক্ষেত্রে লিফটই ভরসা। কেনানা ৭ তলার পর আর কোনোভাবেই হেটে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে না। লিফট যে মানুষের পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে শুধু তাই নয়, সময় ও অনেক কমিয়ে দিয়েছে। মানুষের সৌখিনতা আর প্রযুক্তির উন্নতির ফলে লিফট ব্যবহার বেড়ে চলেছে।
আর এই লিফটে তো সব সময়ই ওঠানামা করেন। কখনো কি খেয়াল করেছেন, লিফটের দরজায় ছোট একটা ছিদ্র থাকে? না খেয়াল করে থাকলে আজই লিফটে ওঠার আগে ভালো করে দরজার দিকে খেয়াল করুন।
এই ছোট্ট ছিদ্রটি আপাতদৃষ্টিতে দেখলে ততটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে না। কিন্তু জরুরি অবস্থায় অথবা লিফট ঠিকঠাক রাখতে এই ছিদ্র খুবই কার্যকর। লিফট কখনো যদি বন্ধ হয়ে যায়, তখন একটি ‘ড্রপ কি’র মাধ্যমে লিফটের দরজা খোলা হয়। রেফারেন্স ওয়েবসাইটে লিফটে ছিদ্র থাকার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
লিফটের দরজা মূলত দুই সেট থাকে। লিফটের ভেতরের দিকে এক সেট আর লিফটের বাইরে দিকে এক সেট। খোলার সময় এ দুই সেট দরজা একসঙ্গেই খোলে। এ ছিদ্রটি মূলত বাইরের দিকের দরজার থাকে।
এ কারণে যখন লিফটের বাইরে লাইন ধরে দাঁড়ান, তখন এই ছিদ্র দেখতে পান। ভেতরে ঢুকলে লিফট বন্ধ হওয়ার পর ছিদ্রটা আর দেখতে পান না। আর বাইরে দিকের দরজায় ছিদ্রটা রাখার মূল কারণ হলো লিফট আটকে গেলে যেন বাইরে থেকে এর দরজা খোলা যায়।
এই ছিদ্রটিকে আপনি বলতে পারেন তালা। আর এই তালা খোলার জন্য চাবি, যা ‘ড্রপ কি’ নামে পরিচিত, সেটি থাকে ভবনের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের কাছে। আনলকিং সিস্টেমটা লিফটের ভেতরের দিকে থাকে।
লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে এই ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে লিফট মেকানিক দরজা খোলার চেষ্টা করেন। অনেক সময় এই ছিদ্র গোল না হয়ে অর্ধচন্দ্রাকৃতির হয়ে থাকে। কারণ, চাবির আকার কিছুটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির মতো। এর ফলে লিফটের দরজা খোলা সহজ হয়।
এই চাবি দিয়ে লিফটের দরজা খোলার পর লিফট মেকানিক একটি লোহার দণ্ড দিয়ে জোর করে পুরোটা দরজা খুলে ফেলেন। এই দণ্ড সাধারণত লিফটের দরজা খোলার কাজে, জরুরি অবস্থায়, লিফট ঠিকঠাক করতে ব্যবহার করা হয়।
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।