রাতে দেরি করে খাওয়া

সারাদিনের কাজ শেষে একটু আরাম আয়েশ করে, গল্প-আড্ডা আর বিভিন্ন কাজের পরে আপনার রাতের খাবারে হয়তো একটু দেরিই হয়ে যায়। আবার রাতে দেরি করে খাওয়া অনেকের রীতিমত অভ্যাসই থাকে। কিন্তু সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চাইলে রাতের খাবারটা ঘুমানোর কমপক্ষে দেড়-দুই ঘণ্টা আগেই সেরে নেওয়া ভালো।

১. গবেষণায় বরাবরই প্রমাণিত যে রাতে দেরি করে খাওয়ার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর এর ফলে ঘটে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। শুধু তাই নয়, দেরি করে খাওয়ার ফলে স্ট্রোকস এর আশঙ্কাও বেড়ে যায় অনেক।

২. প্রতিদিন রাতে দেরি করে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের পাশাপাশি মনের ওপরেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এই প্রভাবের ফলে মানসিক অবসাদ, বিরক্তি, ক্ষুধামন্দা, দুশ্চিন্তার মতো সমস্যাগুলো তৈরি হতে পারে।

৩. রাতে খাবার পর অন্তত ২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়বেন না। খেয়ে অবশ্যই হাঁটাচলা করুন। এতে করে খাবার সঠিক পদ্ধতিতে হজম হবে। তাড়াতাড়ি খেলে শরীর খাবার হজম হওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় পায়। আর প্রাপ্তবয়স্কদের কখনোই সন্ধ্যা ৭টার উর্ধ্বে গিয়ে খাবার খাওয়া উচিৎ নয়।

৪. আমরা যা খাবার খাই তা ঠিকমতো হজম হওয়া দরকার। তৈলাক্ত, মশলাযুক্ত খাবার শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই রাতে খেয়েই যদি ঘুমাতে চলে যাওয়া হয়, পুরোটা খাবারই শরীরে লেগে যায়। এজন্য খেয়ে খাবার হজম হতে সময় দিন। ভালো হয় হাঁটাহাঁটি বা কোনো হালকা কাজ করলে। এতে করে খাবার হজম হবে, মেদ-চর্বি শরীরে জমতে পারবে না। ওজন বাড়ারও ভয় থাকবে না।

৫. বেশি রাতে খাওয়া মানে পেটে অনেকক্ষণ ধরে ক্ষুধা পুষে রাখা। এতে করে বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রকট হতে থাকে। এবং সেটা বেশিদিন হলে আলসার হওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হতে পারে।

৬. রাতে দেরি করে খেলে দেহে ফ্রি রেডিক্যাল বেড়ে গিয়ে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। এ ছাড়া এতে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যায়, ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

৭. রাতে দেরি করে খেলে ঘুমের সমস্যা হয়। রাতে দেরি করে খেলে শরীরের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

তাই চেষ্টা করবেন যতো কাজই থাক, আগেভাগে খাওয়ার অভ্যাস করবেন।

বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।

খবরগুলো আপনার ফেসবুক হোমপেজে নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন