পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে নারীকে যে পরিমাণে নির্যাতিত হয়, তার বিরুদ্ধে সব রকম ভাবে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধ আইন কিংবা ৪৯৮এ-র মতো নানা ধরনের আইনি পথের ব্যবস্থাও রেখেছে সংবিধান। কিন্তু কখনও-সখনও ঢের কম সংখ্যায় হলেও, এর উল্টোটাও কি ঘটে না?
চার দেওয়ালের ভেতরে অত্যাচারিত হয় পুরুষও। ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’-র কাছে উঠতে-বসতে ঝাড় খায়, সপ্তাহে এক-আধ বার মারও জোটে কপালে! কিন্তু তখন তার পাশে কে দাঁড়ায়?
স্বভাবতই লজ্জায় এসব কথা মুখ ফুটে পরম বন্ধুকেও বলে উঠতে পারে না অসহায় পুরুষ। নইলে পৌরুষের অভাবে ঠাট্টার পাত্র হতে হয় তাকে। তাহলে করণীয় কী? ৭টি উপায় বাতলালেন ‘পীড়িত পুরুষ পতি পরিষদ’-এর প্রধান রাধিকানাথ মল্লিক—
১। এই নিয়ে পুরুষের জন্য সরাসরি কোনও আইন নেই। তবু এমন ঘটনা ঘটলে থানায় ডায়েরি করা যেতে পারে। তাতে বিরাট লাভ কিছু না হলেও, পরে বড়-সড় সমস্যার সৃষ্টি হলে, সুবিধে মিলবে।
২। একই ঘটনা বার বার ঘটলে একাধিক বার ডায়েরি করে রাখা উচিত।
৩। শারীরিক বা মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন, এই মর্মে আইনি নোটিশ পাঠাতে পারেন অত্যাচারিত স্বামীর আইনজীবী।
৪। দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারিত হতে থাকলে, জুডিশিয়াল সেপারেশনের পথেও হাঁটা যেতে পারে।
৫। স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, নির্দিষ্ট সময় পরে ডিভোর্সের মামলা করা যায়।
৬। তবে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, ডিভোর্সের পথে যাওয়ার আগে অবশ্য করণীয় হল তাকে ব্যক্তিগত চিঠি লিখে ফিরে আসার অনুরোধ করা। না ফিরলে তার ভরন-পোষণ বাবদ টাকা পাঠানোও। এতে অন্তত এটুকু প্রমাণ করা সম্ভব হবে যে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রাথমিক দায়বদ্ধতাটুকু ছিল।
৭। ‘পীড়িত পুরুষ পতি পরিষদ’ এবং এ ধরনের বিষয় নিয়ে কলকাতা শহরেই কাজ করা আরও বিভিন্ন এনজিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা। তাদের থেকেও দরকার মতো সাহায্য পাওয়া যেতে পারে।
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।