বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেটপ্লেসে ধীরে ধীরে শক্ত অবস্থানে উঠে আসছে।
ওডেস্ক, ইল্যান্স সহ বিশ্বখ্যাত মার্কেটে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা সৎ, কর্মঠ ও প্রফেশনাল মানসিকতার পরিচয় দেওয়ার কারনে বায়ারদের কাছে ক্রমান্বয়ে গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে। তবে আপনি এ মার্কেটে নুতন পুরাতন যাই হোন না কেন নিম্নের বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে এগুলে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে একদিকে যেমন আপনার একটি ব্র্যান্ড তৈরি হবে, অন্যদিকে বায়ারের অনাকাংখিত পরিস্থিতি থেকেও উত্তরণ ঘটাতে পারবেন।
১. বায়ার কোন দেশের নাগরিকঃ প্রথমেই দেখুন বায়ার কোন দেশের নাগরিক। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষত্রে, উন্নত দেশগুলো যেমনঃ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশগুলোর বায়ারকে অগ্রাধিকার দিন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, পেমেন্টসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে তারা সৎ ও প্রফেশনাল।
২. পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইডঃ এখানে লক্ষ্য করুন, বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড থাকলে আউয়ারলি জবে ১০০% ও ফিক্সড প্রাইস জবের ক্ষেত্রে অনেকাংশে পেমেন্ট পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।
উপরের ইমেজটিতে লক্ষ্য করুন- upwork Client লেখার ডানে সবুজ রং দ্বারা মার্ক করা বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড। অন্যদিকে যেসব বায়ারের পেমেন্ট ভেরিফাইড নেই তাদের ক্ষেত্রে সবুজ রং টি নেই।
৩. বায়ারের ইন্টারভিউ কল করাঃ বিড করার পূর্বে দেখে নিন-ক্লায়েন্ট কতজনকে ইতিমধ্যে ইন্টারভিউতে ডেকেছে। ১০ জনকে ডাকার পর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। অতএব, জব পোষ্ট হওয়ার পর পরই বিড করার চেষ্টা করুন।
৪. ক্লায়েন্টের ফিডব্যাক ও পেমেন্টঃ ক্লায়েন্টের রেকর্ড দেখে লক্ষ্য করুন-ফ্রিল্যান্সারদেরকে তিনি কেমন ফিডব্যাক দিয়েছেন। অনেক ক্লায়েন্ট আছে কাজের ১৯/২০ হলেই বাজে ফিডব্যাক দিয়ে বসে।
উপরোক্ত বিষয় ছারাও প্র্যাকটিক্যালি কাজ করতে করতে অনেক অভিজ্ঞতা হবে যা সঠিক বায়ার নির্বাচন করতে সহায়ক হবে।
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।