আমরা সকলেই জানি পুরুষদের তুলনায় নারী একটু বেশিই কাঁদেন। কারণে-অকারণে ফেদ ফেদ করে কেঁদেগ ফেলেন নারীরা। কিন্তু কী কারণে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি কাঁদেন? সেই বিষয়টি আমাদের সত্যিই অজানা।
আমরা সকলেই যানি নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশিই কাঁদেন। তারপওে সমাজে সবদিকের বিবেচনার উর্ধেই রয়েছেন বর্তমানে নারীরা। কোনো অংশেই তারা পুরুষদের তুলনায় কম নন।
তবে তা সত্বেও কোথাও না কোথাও নারীদের মধ্যে মাতৃত্বসুলভ আচরণ থেকেই যায়। নারীরা সমাজের হয়রানিকে টেক্কা দিতে বাইরে দুর্গারূপ ধারণ করলেও তাদের ভেতরটা সব সময সেই কোমলই থেকে যায়।
আর তাই এই কোমল হৃদয়ের জন্যই তারা নিজেদের ইমোশনকে কখনও কন্ট্রোল করতে পারেন না। সেই জন্যই হয়তো সকল নারীকে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসতে হয়, মেয়েরা তো কথায় কথায় কেঁদে ফেলে।
গবেষণাও ঠিক যেনো একই তথ্য উঠে এসেছে নারীদের সম্পর্কে। নেদারল্যান্ডের তিনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এড ভিঙ্গারহোয়েটস দ্বারা পরিচালিত হয় একটি গবেষণা সমিতি।
মোট ৭টি দেশের প্রায় ৫ হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তারা। গবেষকরা জানিয়েছেন, নারীরা বছরে ৩০ হতে ৬৪ বার অশ্রুপাত করেন। উল্টোদিকে ছেলেদের অশ্রুপাতের পরিমাণ বছরে ৬ হতে ১৭ বার।
গবেষকরা আরও বলেছেন, মেয়েদের কান্নার ব্যাপ্তিকাল ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি। মেয়েদের কান্নার আয়ু গড়ে ৬ হতে ৭ মিনিট, সেখানে পুরুষদের কান্নার আয়ু মাত্র ২ হতে ৩ মিনিট।
কান্নার ওপর ভিত্তি করে ‘হোয়াই অনলি হিউম্যানস উইপ: আনর্যাভেলিং দ্যা মিস্ট্রিজ অফ টিয়ারস’ নামে একটি বইও রচনা করেছেন অধ্যাপক এড ভিঙ্গারহোয়েটস।
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।