ভালবাসা বোঝার উপায়

একে অপরের ঘনিষ্ঠ হলেই রাগ-অভিমান-দুঃখ-জ্বালা মিটে যাবে। এমন পরিস্থিতিতেই তাই সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া ভাল। তবে শুধু মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্যই নয়, অনেকে যৌনতাকে ব্যবহার করেন সাফল্যের সিঁড়ি হিসেবেও। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে নেওয়া এমন সিদ্ধান্তের জন্য পরে আক্ষেপ করতে হতে পারে আপনাকেই। মনে হতে পারে, সেদিন তেমন কাজটা না করলেই পারতেন। তাই জেনে রাখুন জীবনের কোন কোন পরিস্থিতিতে সঙ্গম এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

১. প্রাক্তনের শোক ভুলতে
পুরনো সম্পর্ক ভুলে এগিয়ে গিয়েছি। মনকে এমনটা বোঝাতে নতুন পার্টনারের সঙ্গে অল্পদিনের আলাপেই শারীরিক সম্পর্ক নিবিড় হতে থাকে। পুরনোকে ভুলতে বর্তমানকে আষ্টেপৃষ্টে ধরার তাগিদ অনুভব করা যায় অনেকের মধ্যেই। যার চূড়ান্ত পর্যায় মিলন। সে মুহূর্ত মনকে সাময়িক স্বস্তি দিতেই পারে।

কিন্তু ভেবে দেখুন তো, ঠিক কেন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন? প্রাক্তনের স্মৃতি মেটাতে কোনওভাবে বর্তমানের আবেগ-অনুভূতিকে ধাক্কা দিলেন না তো? কারণ তিনি তো জানেনই না, আপনার মনে ঠিক কী রয়েছে। কে বলতে পারে, পরবর্তীকালে এই সঙ্গমই আপনার বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াল।

২. মেজাজ ঠাণ্ডা করতে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাগের মাথায় কোনও আবেগপ্রবণ কাজ না করাই ভাল। এতে রাগ তো মেটেই না, উলটে অনেক সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত লাগতে পারে পার্টনারের। কারণ রাগের মাথায় আপনি কী করছেন ঠিক খেয়ালই থাকে না। আর এতেও রাগ না মিটলে পরবর্তী সময় পরস্পরের মধ্যে যৌন চাহিদাও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩. পার্টনারকে খুশি করতে
অনেকেই হয়তো মুখে স্বীকার করেন না, কিন্তু এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা শুধুমাত্র পার্টনারকে খুশি করতেই মিলনে লিপ্ত হন। অনেক সময় মানসিক অশান্তি কিংবা আবেগ চেপে রেখে কেবল পার্টনারের মুখ চেয়েই বিছানায় কাছাকাছি আসেন। শুধু সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেও অনেকে এমনটা করে থাকেন। কিন্তু নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, এভাবে কি দীর্ঘদিন একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব? তার চেয়ে বরং নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

৪. সাফল্যের সিঁড়ি
পেশাদারি জীবনে অনেকেই শর্টকাটের শরণাপন্ন হন। হাজার প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনই অনেকটা সহজ কাজ বলে মনে হয়। আর এতে সাফল্যের সিঁড়িও চড়া যায় অনায়াসে। কিন্তু শর্টকাটের পরিণতি যে কখনওই সুখকর হয় না। তাই সাফল্য পেতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এতে কর্মক্ষেত্রে নিজের ভাবমূর্তি ও যেমন বজায় থাকে তেমনই কেরিয়ারেও উন্নতি ঘটে।

৫. অন্যের নজর কাড়তে
শুনে বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তু ‘প্লে-বয়’ বা ‘হট গার্ল’-এর তকমা পেতে অনেকেই যৌনতাকে হাতিয়ার করেন। তাঁরা মনে করেন যৌনতা নিয়ে প্রতিনিয়ত পরীক্ষানিরীক্ষা করে গেলেই বন্ধুদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব। বন্ধুমহলে নিজের এমন ভাবমূর্তি তৈরি করার আগে দুই বার ভাবুন। যাতে পরবর্তীকালে এ নিয়ে আক্ষেপ না করতে হয়।

বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।

খবরগুলো আপনার ফেসবুক হোমপেজে নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন