cuba

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনোরম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনা কথা। আজ রইল সিরিজের তৃতীয় পর্ব- “কিউবার রহস্যময় ডুবন্ত শহর”।

cuba

পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার শহর। তাদের সবারই রয়েছে নিজ নিজ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান আর আরো নানারকম বিশেষত্ব। কিন্তু হলফ করে বলে দেওয়া যায় যে তাদের কোনটাই বিশেষত্বের দিক দিয়ে কিউবার এই শহরের ধারে কাছে নয়। আর থাকবেই বা কী করে? শহর সে যেরকমটাই হোকনা কেন, পানির নীচে নিশ্চয় থাকবে না। কিন্তু শহর সম্পর্কে সবার এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ২০০১ সালে। ২০০১ সালেই পশ্চিম কিউবার কাছে পানির ২,০০০ ফুট নীচে অবস্থিত একটি শহরের খোঁজ পাওয়া যায়। যেটা কিনা আজকে কিউবার ডুবন্ত শহর নামে পরিচিত। রহস্যের খাসমহল ২০০১ সালের ১৪ মে ছিল দিনটি। সেদিনই হঠাত্ এক কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান “ অ্যাডভান্সড ডিজিটাল কমিউনিকেশন “ এর পক্ষ থেকে একটি জরিপ কাজ চালানোর সময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পউলিন জালিটজকি ও তার স্বামী পল ওয়েজেওয়েগ পানির নীচে এক আশ্চর্য স্থাপনা খুঁজে পান ক্যারাবীয়ান সর্ববৃহত্ দ্বীপ পশ্চিম কিউবায়। নানারকম অনুসন্ধানের পর পিরামিড, বারান্দা, রাস্তা, ঘর- কি না খুঁজে পায় মানুষ সেখানে! স্থাপনার গঠন আর আকৃতি দেখে মনে করা হয় ছোটখাটো কোন ব্যাপার নয়, বরং গোটা একটা সভ্যতাই বিকশিত হচ্ছিল এখানে। পুরোদস্তুর একটা শহরকে আবিষ্কার করে পৃথিবী। ভূমির আকৃতি দেখে বিশেষজ্ঞরা জানান একটা সময় মাটির ওপরেই ছিল স্থাপনাটি। তাহলে কী করে এভাবে ডুবে গেল এটি? সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতানুসারে কিউবার ডুবন্ত শহরটির এভাবে ডুবে যেতে এর সময় লেগেছে প্রায় ৫০,০০০ বছর। কিন্তু এত বছর আগে এতটা উন্নত প্রযুক্তি কিংবা চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা ছিলনা মানুষের। ছিলনা প্রকৌশলগত এতটা জ্ঞান। তাহলে কে নির্মান করেছিল এমন একটি শহর? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও অনেকে অতিপ্রাকৃতিক বা ভিনগ্রহবাসীদের ঘাড়ে এর কৃতিত্বটা দিতে চান। মনে আছে তো আটলান্টিস শহরের কথা? হারিয়ে যাওয়া সেই শহরের সাথেও মেলাতে চান অনেকে খুঁজে পাওয়া ডুবন্ত শহরকে। কেউ আবার পুরোটা ব্যাপারকেই প্রকৃতির কারসাজি ভাবেন। কিন্তু সত্যিটা আসলে কি? নিজের রহস্যকে নিজের কাছে রেখে এখনো চুপচাপ শান্তভাবে পানির নীচে বসে আছে নিরুত্তর ডুবন্ত শহর

বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।

খবরগুলো আপনার ফেসবুক হোমপেজে নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন