Adenium Leafs

এই পর্বে আমরা রোগবালাই এর কারন নিয়ে আলোচনা করবো। এখানে শুধু সমস্যার উপর আলোচনা হচ্ছে। কারন, মূল কারন টা সনাক্ত করা গেলে সেটার প্রতিকার খুব সহজ। তাই প্রতিকারের বিস্তারিত আলোচনা এখানে করা হবে না। তবে গাইডলাইন পাওয়া যাবে। তাহলে শুরু করি আমাদের আজকের পর্ব।
পোকামাকড় এর কারনে পাতা হলুদ হলে পাতার উপর নিচে দাগ থাকে। এছাড়াও এই হলুদ রংটা, বয়ষ্ক হলুদ রঙে চেয়ে উজ্জ্বল হয়। এডেনিয়াম যে সব পোকামাকড় দিয়ে আক্রান্ত হতে পারে-

❌ লাল মাকড় 🕷️
আণুবীক্ষণিক এক ধরনের পোকা যারা সাধারণ কচি পাতা/কান্ডে সংক্রমণ করে। পাতার রস শুষে নেয় তাই পাতা হলুদ হয়ে যায়। পাতার নিচে লাল কালো ফোটা ফোটা দাগ দেখে এদের চেনা যায়। অনেক সময় এরা পাতায় জাল 🕸️ তৈরী করে ফেলে। কাছ থেকে ভাল করে লক্ষ্য করলে সেই জালে সাদা সাদা ঘুটিঘুটি ডিম দেখা যায়। আতসি কাচ দিয়ে দেখে শতভাগ নিশ্চিত ভাবে এদের সনাক্ত করা যায়।
✅ খুব জোড়ে পাতায় পানি স্প্রে করে দিলে, পানির স্রোতে এই মাকড় চলে যায়। এছাড়াও এলকোহল দিয়ে গাছের পাতা মুছে দিলেও এই মাকড় থেকে গাছ বাচানো যায়। ৮০% সালফার, এবামেক্টিন মাকড় প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।

❌ মিলিবাগ 🐡
সাদা সাদা লোমশ ধরনের পোকা যেটা পাতা/কান্ড/শিকড়ে আক্রমণ করে, রস শুষে নিয়ে গাছকে দূর্বল করে ফেলে। মিলিবাগে আক্রান্ত পাতা নিস্তেজ, ঢলঢলে, নির্জীব আর গাঢ় হলুদ হয়ে যায়।
✅ মিলিবাগ হাত দিয়ে সরিয়ে দিলেই এটি গাছের ক্ষতি করতে পারে না। অনেকে সাবান/শ্যাম্পু/ডিটারজেন্ট মেশানো পানি ব্যাবহার করে মিলিবাগ দূর করেন। কীটনাশক ব্যবহার করেও এটি প্রতিরোধ করা যায়।

❌ ছত্রাক 🧬
এডেনিয়ামের পাতা হলুদ হতে পারে ছত্রাকের সংক্রমণ থেকেও। সাধারণত বর্ষায় বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকে, তখন গাছে ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষন পাতায় পানি জমে থাকলেও পাতায় ছত্রাকের উপস্থিতি দেখা যায়। অন্যান্য কারনে পাতা হলুদ হয়ার সাথে ছত্রাকের কারনে পাতা হলুদ হওয়া খুব সহজেই পার্থক্য করা যায়। ছত্রাক আক্রান্ত পাতায় কালচে/খয়েরী দাগ থাকে। প্রথমে পাতায় দাগ আসে, পরে আস্তে আস্তে পুরো পাতাটাই হলুদ হয়ে যায়।
✅ তাই গাছের পাতায় যেন দীর্ঘ সময় পানি জমে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করলে খুব ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। অনেকে ছত্রাকের জন্য নিম তেল ব্যবহার করেন।

❌ এফিড 🦗
এরা সাধারণত পাতা আর ফুলের কুড়িতে সংক্রমণ ঘটায়। রস শুষে নিয়ে এরা গাছকে নির্জীব করে ফেলে। এফিড আর পিঁপড়া মিথোজীবিতার মাধ্যমে টিকে থাকে। তারা পিঁপড়ার জন্য মিষ্টি রস সরবরাহ করে, বিনিময়ে পিঁপড়া এফিডকে অন্যান্য পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে।
✅ এফিড প্রতিরোধে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এর সাথে পিঁপড়ার জন্য পিঁপড়ানাশক পাউডার ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়।
(ছবিগুলো বর্ননা দেয়া হয়েছে। আশা করি এতে বুজতে সহজ হবে।)

তথ্য সংগ্রহ ও লেখকঃ Md Sajjad Hossen Jim

বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।

খবরগুলো আপনার ফেসবুক হোমপেজে নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন