অফিস কিংবা বাসায় আরামে থাকার জন্য এসির ব্যবহার সবর্ত্র। অফিসে তো এসি ছাড়া চলেই না। এসি যেনো অফিস স্ট্যাটাসেই নির্ণায়ক। কিন্তু এই আরামদায়ক যন্ত্রটি আপনার কতটা ক্ষতি করতে পারে সেটাও ভেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আর যদি না ভাবেন তবে আপনার দেহকে কিছু অসুখের বাসা হিসেবে প্রস্তুত করছেন। তাই এসি ব্যবহারের ফলে কী রোগ হতে পারে তা জানা অত্যান্ত জরুরী।
এসি-র কারণে কী কী অসুখের শিকার হতে পারেন:
মাইগ্রেন:
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর দাসের মতে, মাইগ্রেন তো বটেই, তা ছাড়া যে কোনও রকম মাথা যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে তোলে এসি। বহুক্ষণ এসি ঘরে থাকলে ঠান্ডাজনিত অসুখের প্রাদুর্ভাব বাড়ে ফলে মাথা ব্যথার প্রকোপও বেড়ে যায়।
ওবেসিটি:
চিকিৎসকদের মতে, এসি-র শুকনো ও স্যাঁতসেঁতে হাওয়া শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে। তাই ওবেসিটির শিকার হন অনেকেই। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এসি ঘরে না থাকা মানুষদের তুলনায়, এসি ঘরে থাকা মানুষদের হঠাৎ মেদবহুল হয়ে পড়ার নজির রয়েছে।
নানা সংক্রমণ:
এসি-র শৈত্যে চোখ-কান-গলার ক্ষতি হয়। শরীরের আর্দ্রতা কমে যাওয়াই শুধু নয়, এসি-র হাওয়ায় অনেকেরই শরীরের স্নায়ু ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠান্ডা লাগা বা নাক-কান-গলায় সংক্রমণ ঠেকানো যায় না।
ক্লান্তি:
আরামের জন্য এসি চালালেও এসি আসলে আপনার শরীরকে শুষ্ক করে দেয়। ফলে জল তেষ্টা টের না পেলেও শরীরের অভ্যন্তরে জলের চাহিদা তৈরি হয়। তাই এসি-তে থাকলে বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যাস রাখুন। জলের ঘাটতির জন্য শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
চোখের অসুখ:
ঠান্ডা লাগার ধাত আছে আপনার? তা হলে এসি-র প্রভাবে ড্রাই আইজ হতে পারে আপনারও। দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকলে শৈত্য ও শুষ্কতার কারণে চোখের ভিতরের অংশ শুকনো হয়ে যায়। ফলে চোখ কড়কড় করে। চোখ থেকে জলও পড়ে।
ত্বকে সংক্রমণ:
এটি মূলত গরম কালের অসুখ। গরমে সূর্যের তাপ বেশি হওয়ায় এই সময় এসি-র ব্যবহারও বেশি হয়। এই সময় বাইরে কড়া রোদ ও ভিতরে এসি-র তাপমাত্রা সম্পূর্ণ আলাদা থাকে। শুষ্ক হয়ে ওঠার কারণে শরীরের ত্বক এই দুই তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। এতে অনেকের ত্বকে এক ধরনের অ্যালার্জি দেখা দেয়।
ভাইরাসঘটিত অসুখ:
দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাকের প্যাসেজ শুকনো হয়ে যায়। তার ফলে মিউকাস শুকিয়ে গিয়ে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে ৷
বি:দ্র: প্রতিটি লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুকপেজ-এ লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বিডি লাইফ এ যেয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।